নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কুমিল্লার সদর দক্ষিণ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ঢাকার বাসায়। গুলশানের ওই বাসায় বৈঠকে মুস্তফা কামাল ছাড়াও সাবেক রেলমন্ত্রী ও চৌদ্দগ্রাম আসনের এমপি মুজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এই দু’জন গণভবনে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরিকল্পনার কথা জানালে তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে বলা হয় র্যাব-পুলিশকে। মঙ্গলবার কুমিল্লা জজকোর্টে আইনজীবী সমিতি ভবনে সাংবাদ সম্মেলনে মনিরুল হক এ অভিযোগ করেন।
২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দেওয়া হয়। মনিরুল হক বলেন, এ নিয়ে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার এজাহার ও আদালতে সাক্ষ্যে না এলেও সম্পূরক চার্জশিটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। র্যালব-পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বাসটিতে গানপাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই সময় পুলিশের মামলায় উল্লেখ করা হয়, পেট্রোল বোমা মেরে বাসটি পোড়ানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান বাপ্পী বরিশালের সাবেক এমপি পঙ্কজ দেবনাথের কাছ থেকে সংগ্রহ করা গানপাউডার দিয়ে বাসটি পুড়িয়েছেন। এসব তথ্য মামলার পরবর্তী তারিখে আদালতে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আইনজীবী কাজী নাজমুস সা’দাত, কাইমুল হক রিংকু, শহীদুল হক স্বপন, মাহবুবুল হক খন্দকার ও আবদুল মোতালেব মজুমদার।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে কক্সবাজার থেকে ঢাকা অভিমুখী বাস চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পৌঁছলে গানপাউডার ছিটিয়ে আগুন দেওয়া হয়। এতে ৮ যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আসামি করা হয়। এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই বাসের মালিক আবুল খায়ের বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যা বের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।