স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারের পৌর মিলনায়তনে বিএনপির সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে কামরুল হুদা গ্রুপ ও হিরণ মোল্লা গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হুদা গ্রুপের হামলায় জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ ও ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল গ্রুপের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের ফলে বেশ কিছু সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির কিছু নেতা অভিযোগ করেছেন যে, জেলা নেতৃবৃন্দ তাদের সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে কোনো ভূমিকা রাখেননি। আহতদের মধ্যে রয়েছে পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়ের, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সবুজ, শ্রীপুর ইউনিয়নের সাইফুলসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েল বলেন, “আমরা হামলার শিকার হয়েছি। হামলা করার সময় তারা হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এদিকে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ বলেন, “আমাকে লাঞ্চিত করে এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। আমরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে আবুল খায়ের মার্কেটের সামনে অবস্থান করি, সেখানে আবার হামলা হয়।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা বলেন, ‘আমরা এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। যখন ঘটনা ঘটে তখন আমরা সভাস্থলে। ওই সময় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। আমার কোনো নেতা-কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন বলেন, সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির বিষয়ে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।