আমরা দেশকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান, মুসলিম সকলের নিরাপদ জনপদে পরিণত করবো-সাবেক শিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দের সাথে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময় সভা শনিবার সকালে নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ শহীদ মুন্তাসির গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা আমীর মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য মাওলানা এয়াছিন আরাফাত।
জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব মজুমদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন চন্দ্র দে, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, পৌরসভা জামায়াত আমীর এস এম মহি উদ্দিন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি রাজিব কিশোর দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা সিনিয়র উপদেষ্টা মাস্টার গৌরঙ্গ মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভ্রত সাহা শুভ, সদস্য রাজন, জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আলী, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম হাছান, সহ-সেক্রেটারি মাওলানা এয়াছিন মজুমদার, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, পৌরসভা সভাপতি মাস্টার সোলাইমান, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ গ্রন্থাগারিক এ.টি.এম জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা এয়াছিন আরাফাত বলেন, আপনাদের সাথে মতবিনিময় করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। জামায়াতে ইসসামী মানবতাবাদী সংগঠন, গণমাধ্যম ও আপনারা আমাদেরকে ভিন্ন ভাবে জানতেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এটি দেশী-বিদেশী একটি গোষ্ঠি চায়না। আপনারা অশান্তিতে থাকলে কার রাজনৈকি লাভ হয় তা আপনাদের অজানা নয়। হিন্দু মানেই আওয়ামীলীগ নয়, তারা আপনাদের সবসময় বিভক্ত করে রাখতো। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে হিন্দুরা তাদের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ “করতে পারবে। জামায়াত ক্ষামতায় গেলে হিন্দুদের লাভ বেশী, কারন জামায়াতে ইসলামী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। আপনাদেরকে কেউ কোন ঠাসা করে রাখবে, ট্যাগ দিয়ে রাখবে, মতের স্বাধীনতা দিবেনা এসুযোগ আপনারা দিবেন না। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই। জামায়াতের একজন কর্মী পর্যন্ত সংগঠনের আনুগত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। এ দেশে সংখ্যা লঘু সংখ্যা গুরু বলতে কোন কিছু নেই, সকলেই এ মাটির সন্তান জামায়াতে ইসলামী সেটা নিশ্চিত করবে। কেন আপনাদের মন্দির, বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে? আমাদের মুসলমানের মসজিদ যেমন পাহারা দিতে হয় না, আপনাদের মন্দিরও তেমনি পাহারা দিতে হবে না, জামায়াত সেটি নিশ্চত করবে। আপনারা আমাদের প্রতিবেশী, আমরা একই জায়গায় বসবাস, ব্যাবসা ও বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে সামাধান করি, ধর্মিয় জায়গায় কেন বিদ্ধেষ পোষণ করবো। বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা সচেতন থাকবেন। আমরা দেশকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান, মুসলিম সকলের নিরাপদ জনপদে পরিণত করবো। আমরা সেবা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকবো।